
ফিলিস্তিন গাজার বর্তমান অবস্থা ২০২৫
১৯৪৮ সালের মে মাসে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু। সেই সময় এই যুদ্ধকে আল-নাকবা বা ‘দুর্ভোগ’ বলা হয়, এটি ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি বড় ক্ষতি ছিল, কারণ অনেক ফিলিস্তিনি তাদের নিজস্ব ভূমি থেকে উচ্ছেদ হয়ে শরণার্থী হয়ে পড়ে। যুদ্ধের পর ইসরায়েল বিজয়ী হয় এবং ফিলিস্তিনিরা তাদের অনেক ভূমি হারিয়ে ফেলে। সেই থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা শুরু করে।
ফিলিস্তিন গাজার বর্তমান অবস্থাঃ

২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি, দীর্ঘদিন ধরে চলা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তিতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। চুক্তিটি কার্যকর হয় ১৯ জানুয়ারি থেকে এবং এটি মূলত তিনটি ধাপে বিভক্ত একটি পরিকল্পনার ভিত্তিতে গঠিত। এই প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা। হামাস ২০২৪ সালের ৫ মে-তে প্রস্তাবের প্রতি আনুষ্ঠানিক সম্মতি দেয় এবং ৩১ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চূড়ান্তভাবে এটি প্রকাশ্যে উপস্থাপন করেন। জানুয়ারি ২০২৫ নাগাদ, ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই সমান ধরনের একটি পরিকল্পনায় সম্মত হয়।
চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়। এই ধাপে হামাস তেত্রিশজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। বিনিময়ে, ইসরায়েল প্রতিটি ইসরায়েলি নাগরিকের জন্য ৩০ থেকে ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে, প্রথমে নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের দিয়ে শুরু হবে। একইসঙ্গে, ইসরায়েলকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মানবিক সাহায্যের অনুমতি দিতে হবে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজ নিজ ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে এবং গাজা থেকে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার শুরু করতে হবে। এই সময়েই, উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে।
দ্বিতীয় ধাপে, ইসরায়েল একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে এবং হামাস বাকি জীবিত পুরুষ ইসরায়েলি জিম্মিদের (সেনা ও বেসামরিক উভয়) মুক্তি দেবে। তৃতীয় ধাপে, যারা মারা গেছেন এমন ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। গাজা উপত্যকা থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, ৩১ মে প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রস্তাবে সেই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
১০ জুন ২০২৫ সালে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই চুক্তিকে সমর্থন জানিয়ে একে ২৭৩৫ নং রেজুলেশন হিসেবে গ্রহণ করে। তবে এরপরে চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, ইসরায়েল শুধুমাত্র একটি "আংশিক যুদ্ধবিরতির" পক্ষে, যা গাজা যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান নিশ্চিত করে না। তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরির অভিযোগ ওঠে। অপরদিকে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন হামাসকে চুক্তি বাস্তবায়নে ধীরগতি ও বাধা সৃষ্টির জন্য দোষারোপ করেন।
এই আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা মূল নেতৃত্বে ছিল। সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, বাইডেন প্রশাসন এবং নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগত প্রশাসন উভয়ই এই চুক্তি বাস্তবায়নে সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প একাধিকবার হুঁশিয়ারি দেন যে, ২০ জানুয়ারির আগে যদি সাতজন আমেরিকান জিম্মিসহ সবাইকে মুক্তি না দেওয়া হয়, তবে "গাজা নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্য নরকে পরিণত হবে"। ট্রাম্প চুক্তি কার্যকরের জন্য ইসরায়েলি নেতাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন বলে একটি কূটনৈতিক সূত্র ওয়াশিংটন পোস্ট-কে জানায়। নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, বাইডেনের উপদেষ্টা ম্যাকগার্ক এবং ট্রাম্পের ভবিষ্যত মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ একসাথে কাজ করেছেন এবং নেতৃত্ব মূলত বাইডেন টিমের হাতে ছিল।
অবশেষে, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫-এ ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা এবং পরে সম্পূর্ণ মন্ত্রিসভা চুক্তিটি অনুমোদন করে। এরপর মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর স্বাক্ষরের মাধ্যমে চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যায়। এই ঐতিহাসিক উদ্যোগটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের ইঙ্গিত দেয়, যদিও বাস্তবায়নে এখনো অনেক রাজনৈতিক জটিলতা বিদ্যমান।
ফিলিস্তিনের ইতিহাস বিস্তারিত পড়ুনঃ
ফিলিস্তিনের ইতিহাস ও ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা
ফিলিস্তিন হামাস ও গাজা অবরোধ
পিএলও নেতা ইয়াসির আরাফাত ২০০৪ সালে মারা যান। তার এক বছর পর দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শেষ হয়। ফিলিস্তিনিরা প্রথমবারের মতো সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেয় সে সময়। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় হামাস। ২০০৭ সালের জুনে হামাসের ওপর ‘সন্ত্রাসবাদের’ অভিযোগ এনে গাজা উপত্যকায় স্থল, বিমান ও নৌ অবরোধ আরোপ করে ইসরাইল।
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ
গাজায় ২০০৮, ২০১২, ২০১৪ ও ২০২১ সালে চারটি দীর্ঘস্থায়ী সামরিক হামলা করেছে ইসরাইল। হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও কয়েক হাজার বাড়ি, স্কুল ও অফিস ভবন ধ্বংস হয়েছে।
গাজা যুদ্ধ: শুরু ও প্রেক্ষাপট (২০২৩–২০২৫)
২০২১ সালে শেষ বড় আকারের যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ ২০২১ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধের ফলে হাজার হাজার রকেট হামলা এবং বিমান আক্রমণের ঘটনা ঘটে, যার ফলে গাজার অনেক মানুষ নিহত ও আহত হয়, এবং ইসরায়েলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়। ১১ দিনের সংঘর্ষের পর, জাতিসংঘ ও মিশরের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। তবে ইসরায়েলে আবারও বর্বরোচিত হামলা শুরু করে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা উপত্যকায় চলমান হামলায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে।

গাজার বর্তমান যুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, যেদিন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরায়েলের দিকে আকস্মিকভাবে একটি ব্যাপক রকেট হামলা ও সশস্ত্র অভিযানের মাধ্যমে আক্রমণ চালায়। এই হামলাকে ইসরায়েল ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ফিলিস্তিনি হামলা হিসেবে উল্লেখ করে। হামাসের এ হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং শতাধিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল একই দিন ‘পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ’ ঘোষণা করে এবং গাজা উপত্যকার উপর দফায় দফায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে, যা আজও (২০২৫ সাল) চলমান।
যুদ্ধের মূল প্রেক্ষাপট:

এই যুদ্ধের পেছনে রয়েছে বহু দশকের দমন-পীড়ন, অবরোধ ও ভূমি দখলের ইতিহাস। ২০০৭ সাল থেকে গাজা অঞ্চল ইসরায়েলের অবরোধের মধ্যে রয়েছে, যেখানে বাস করে প্রায় ২১ লাখ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েল তাদের সীমান্ত, আকাশপথ ও সমুদ্রপথ সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। সেখানে পণ্য, খাদ্য, বিদ্যুৎ, ওষুধ এমনকি পানিও ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন।
এর পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের উপর একটানা বসতি দখল, মানবাধিকার লঙ্ঘন, মসজিদে আক্রমণ (বিশেষ করে আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশি অভিযানের ঘটনা) এবং শত শত ফিলিস্তিনিকে বিনা বিচারে গ্রেফতার—এসবের কারণে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
যুদ্ধের তাৎক্ষণিক ফলাফল:
২০২৩ সালের হামলার পর ইসরায়েল ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে গাজায়। লক্ষ্যবস্তু হয়:
- হাসপাতাল
- আবাসিক ভবন
- স্কুল
- শরণার্থী শিবির
- মসজিদ ও গির্জা
এই যুদ্ধ চলাকালে গাজায় পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, হামাসকে নির্মূল করাই এই অভিযান ‘অপারেশন আয়রন সোর্ডস’-এর মূল লক্ষ্য।
নিচে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের সাম্প্রতিক এবং বিস্তারিত বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হলো:
১. গাজা: যুদ্ধ ও মানবিক সংকট
ইসরায়েল-হামাস সংঘাত: অক্টোবর ২০২৩ থেকে চলা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৫৬,০০০ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ১ লাখের বেশি reuters.com।
সততা নেই ত্রাণে: মার্চ ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজার প্রায় ২১ লাখ মানুষ খাদ্য ও ওষুধ সংকটে ভুগছে। WHO ও FAO হুমকি জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতে মানুষ ক্ষুধার্ত, পানিবন্দী এবং উপযুক্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।
অবকাঠামোর ধ্বংস: হাসপাতাল, স্কুল, বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়েছে—২ হাজারেরও বেশি ভবন এবং প্রায় ৯০% স্কুল ক্ষতিগ্রস্থ ।
২. পশ্চিম তীর (West Bank): বিক্ষোভ ও দখলদারিত্ব
সামরিক অভিযান ও বসতি বৃদ্ধি: Jenin, Tulkarem, Tubas–এর মতো অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে প্রায় ৪০,০০০ ফিলিস্তিনি স্থানচ্যুত হয়েছে। ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের সংখ্যা অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
নৃশংসতা ও হত্যা: গ্রামীণ এলাকায় ইসরায়েলি সেনা ও উগ্রপন্থী বসতিবাসীদের আক্রমণে জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৯১৮+ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন—যাতে শিশু ও নারীরাও রয়েছেন ।
পৌরবাধ্য অবকাঠামো: বাড়িঘর, পানির ট্যাঙ্ক, বিদ্যুতের লাইন এবং স্কুলসহ বহু পরিসেবা স্থাপন নষ্ট করা হয়েছে ।
৩. রাজনৈতিক অনুসন্ধান ও বিশ্ব সংগঠন
** ceasefire চেষ্টা:** ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বৈঠক চলছে; সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৬০‑দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছে ।
২‑রাষ্ট্র সমাধান: জাতিসংঘ জুন ১৭–২০, ২০২৫ নিউ ইয়র্কে কনফারেন্স আয়োজন করেছে; বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ।
ফিলিস্তিনি নেতৃত্বে পরিবর্তন: মহম্মদ আব্বাস ২০২৫ সালে হুসেইন আল‑শেখকে তাঁদের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত করেছেন ।
বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও পরিণতি
ক্ষেত্র | বর্তমান চিত্র |
---|---|
মানবিক অবস্থা | গাজায় প্রায় সবার খাদ্য, পানি, ওষুধের অভাব, পশ্চিম তীরেও ধারাবাহিক নির্যাতন। |
অর্থনৈতিক ধ্বস | গাজায় ৮০% কর্মসংস্থান হার, পূর্বের দশকে উন্নয়ন শতকের পরিলক্ষিত ক্ষতি । |
সীমান্ত সীমাবদ্ধতা | গাজার অবরোধ, পশ্চিম তীরে সেনা চেকপয়েন্ট ও বসতি বৃদ্ধির ফলে নাগরিকদের জীবনযাত্রা নির্দিষ্টভাবে রুদ্ধ। |
রাজনৈতিক অবস্থা | ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দুর্বল, বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এখন ২‑রাষ্ট্র সমাধানের চাপে। |
যুদ্ধ এখন কোথায় দাঁড়িয়ে ২০২৫?
দুই বছর পার হলেও যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। গাজার বড় একটি অংশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে, নিহত হয়েছেন প্রায় ৫৬,০০০+ মানুষ এবং লক্ষাধিক আহত। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই পরিস্থিতিকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ ঘোষণা করেছে। যুদ্ধবিরতির চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে, যদিও ২০২৫ সালের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ নতুন করে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির উদ্যোগ নিচ্ছে।
গাজার এই যুদ্ধ কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়; এটি বহু বছরের নির্যাতন, অবরোধ, ভূমি দখল ও অবিচারের প্রতিক্রিয়া। হামাসের আক্রমণ ছিল একটি বিস্ফোরণ, কিন্তু আগুন জ্বলছিল বহুদিন ধরেই। এখন যুদ্ধ থামানোর পাশাপাশি দরকার একটি ন্যায্য, টেকসই এবং রাজনৈতিক সমাধান, যাতে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
২০২৫ সালে ফিলিস্তিন একদিকে ভীষণ মানবিক সংকটে, অন্যদিকে রাজনৈতিক ও সামরিক পুনর্গঠনের মধ্যেই রয়েছে। গাজা ও পশ্চিম তীর দু–ই বিপর্যস্ত: হাজার হাজার নিহত, অর্ধদাব্দী ধ্বংস, আর আন্তর্জাতিক চাপে সীমান্ত বিতর্ক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রইল।
মন্তব্য করুন
Your email address will not be published.